করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা দোকান মালিক সমিতির সভাপতির মৃত্যু
করোনার উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় নেয়ার পথে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের কাছে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই ওই অ্যাম্বুলেন্সযোগে মৃতদেহ চুয়াডাঙ্গায় আনা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। একইসঙ্গে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ভর্তির পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ তার দাফন কাজ সম্পন্ন হবে।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিকসহ জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫০ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন ও মারা গেছেন ৪ জন।
শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ৩৭ জনের নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৮ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৫ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ১ জন রয়েছেন।
বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৭ ও হোম আইসোলেশনে থেকে ১১৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৩৮ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন ইতালি ফেরত এক যুবক। তার বাড়ি আলমডাঙ্গায়। জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫০ জন নারী-পুরুষ। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন ও মারা গেছেন ৪ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয় ৩ জনকে। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
সালাউদ্দীন কাজল/এফএ/এমএস