করোনায় মৃত ৩৮ জনের লাশ দাফন করলেন যুবলীগ নেতা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩৮ জনের মরদেহ দাফন করেছেন মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মর্তুজা খান ও তার টিম। দেশে করোনা প্রার্দুভাবের পর থেকে মানবসেবায় সক্রিয় থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন ৩৮ জনের মরদেহ দাফন করেছে তার টিম।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন কুমারভোগ কবরস্থানে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনী মন্ডল গ্রামের কাতারপ্রবাসী কামাল খানের মরদেহ দাফন করলেন মর্তুজা খান।
কামাল খান আটদিন আগে কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সোমবার ভোরে তার মরদেহ কাতার এয়ারলাইন্সযোগে ঢাকায় এসে পৌঁছে। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার গ্রামের বাড়িতে আনা হলে মর্তুজা ও তার দল কামালের দাফন সম্পন্ন করেন। কামাল খান ছাড়াও সোমবার লৌহজংয়ে কারাপাশ গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া হুমায়ূন কবীর খানের মরদেহ দাফন করেন মর্তুজা ও তার দল।
এ নিয়ে মর্তুজা খানের নেতৃত্বে সর্বমোট ৩৮ জনের মরদেহ দাফন করা হয়। এত সংখ্যক করোনাে রোগীর মরদেহ দাফন করা হলেও তার টিমের সদস্যরা করোনামুক্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে মর্তুজা খান বলেন, দেশে মহামারি করোনা শুরুর পর থেকে নিজের বাবা-মা, ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের মরদেহ দাফন করতে এগিয়ে আসেনি অনেকেই। ঠিক সেই সময়ে এবা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান শিপন মৃধার অনুপ্রেরণায় আমিসহ উপজেলার সাতঘড়িয়া গ্রামের একদল স্বেচ্ছাসেবী মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসি।
তিনি বলেন, সাজ্জাদুর রহমান শিপন মৃধা আমাদের পিপিই, মাস্কসহ সব ধরনের উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।এমনকি শুধু করোনা নয়, যদি কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার দাফনের কাজ সম্পন্ন করতে কোনো আর্থিক সমস্যা হয়, তবে শিপন ভাই ও আমরা এর দায়িত্ব নিয়ে থাকি। এমনকি দূর থেকে মরদেহ আনতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করি। সোমবার দুইজনেরসহ এ পর্যন্ত ৩৮ মরদেহ দাফন করেছি আমরা।
এএম/পিআর