ঘুরে ফিরে আরএমপিতে
ঘুরে ফিরে রাজশাহী নগর পুলিশে (আরএমপি) বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন বেশ কয়েকজন সদস্য। এদের কেউ কেউ কনস্টেবল হিসেবে আরএমপিতেই কর্মজীবন শুরু করেন। পার করেছেন এক যুগ। কারো কারো বিরুদ্ধে অপরাধীদের সঙ্গে সখ্যতারও অভিযোগ আসছে। তবে এমন অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে আরএমপি।
২০০৪ সালে কনস্টেবল হিসেবে আরএমপিতে যোগদান করেন শরিফুল ইসলাম। পদোন্নতি পেয়ে এখন তিনি এসআই। কর্মরত আছেন নগরীর রাজপাড়া থানায়। গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে হলেও তিনি রাজশাহীতে থিতু হয়েছেন।
শরিফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকার সব বয়সী অপরাধীরা তার পরিচিত। এদের কারো কারো সঙ্গে তার গভীর সখ্যতাও রয়েছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন অপরাধীরা।
কেবল শরিফুল ইসলামই নন, এমন বেশ কয়েকজন এসআই রয়েছেন আরএমপিতে। এদের অধিকাংশেরই পছন্দ বোয়ালিয়া জোন।
সূত্র বলছে, করোনা মোকাবেলায় যখন নগর পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ব্যতিব্যস্ত, তখন পুরোনো এসব সদস্য ব্যস্ত অপরাধী তোষণে। গ্রেফতার বাণিজ্য, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল না করা, মামলার নামে হয়রানি, এমনকি মাদক কারবারে যুক্ত হয়েছেন কেউ কেউ। আর এসবই করছেন টাকার বিনিময়ে। কেউ কেউ নামে বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। আর এসবের মায়ায় ছাড়তে পারছেন না আরএমপি। অন্য কোথাও বদলি হলে তদবির করে আরএমপিতেই ফেরেন।
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই শরিফুল ইসলাম। তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আরএমপিতে রয়েছেন ঠিকই, কিন্তু অপরাধীদের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সখ্যতা নেই। এমন অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।
এদিকে দীর্ঘসময় ধরে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, অপরাধ করে আরএমপিতে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, সাধারণত তিন বছর পেরিয়ে গেলেই বদলি হতে হয়। তবে বদলি হতে হবে এমন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর