ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কারখানায় তৈরি ১৩ প্রকারের ওষুধই নকল

জেলা প্রতিনিধি | বাগেরহাট | প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২০

বাগেরহাটের একটি ভুয়া ওষুধ কোম্পানির কারখানা থেকে গবাদিপশুর বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নকল ওষুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে রাখার অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক গোবিন্দ চক্রবর্তীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাগেরহাট শহরের দশানীর সাবেক কচুয়াপট্টিতে অবস্থিত নকল ওষুধ কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (০৮ জুলাই) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম এ অভিযান চালান।

এ সময় বাগেরহাট ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপারভাইজার মেহেদী আফজাল পল্লব উপস্থিত ছিলেন। টিএস অ্যাগ্রোভেট নামের গবাদিপশুর ওষুধ প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর গোবিন্দ চক্রবর্তী বাগেরহাট শহরের সুরেশ চক্রবর্তীর ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, টিএস অ্যাগ্রোভেট নাম দিয়ে কতিপয় লোক গবাদিপশুর জন্য নকল ওষুধ তৈরি করছিলেন। অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে এর প্রমাণ পাই। গোবিন্দ চক্রবর্তী এখানে যে ওষুধের ব্যবসা করছেন তার কোনো লাইসেন্স নেই। দুই কক্ষের ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড ছিল না। তার ব্যবসার বিষয়ে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তাই তাকে ১৯৪০ সালের ড্রাগ আইনের ১৮(১২) ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানে পাওয়া ১৩ ধরনের বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে এখানে কিছু লোক আসা-যাওয়া করছেন। দিনে-দুপুরে দরজা-জানালা আটকে ভেতরে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন পরিবহনে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। আজকে জানতে পারলাম এখান থেকে নকল ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

কাজল/এএম/পিআর