ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনায় মারা গেলেন রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী | প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২০

রাজশাহীতে প্রাণঘাতী করোনায় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও তিনজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তারা মারা যান।

করোনায় মৃতরা হলেন- নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান মাহাবুব-এ-খোদা (৫০) ও নগরীর শাহমখদুম থানার জিয়াপার্ক এলাকার সেলিম মৃধা (৫০)।

এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃতরা হলেন- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার নগরীর মহিষবাথান এলাকার এখলাসুর রহমান (৪০), নগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফ আলীর স্ত্রী শামীমা বেগম (৪৮) এবং তেরোখাদিয়া এলাকার মেরাজুল ইসলাম (৪০)।

রামেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামীমা বেগম জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান শাহমখদুম এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মৃধা। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

এরপর রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যান কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার এখলাসুর রহমান। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

রাত ১টা ৪০ মিনিটে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহাবুব-এ-খোদার। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একই ওয়ার্ডে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান মেরাজুল ইসলাম।

রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, মৃতদের মধ্যে মেরাজুল, শামীমা বেগম ও সেলিম মৃধাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহীতেই দাফন করবে। আর শিক্ষক মাহাবুবে খোদার দাফন করা হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায়। উপসর্গে মৃত ব্যাংক কর্মকর্তা এখলাসুর রহমানকে তার গ্রামের বাড়ি মাগুরায় দাফন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা করোনার উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি-না।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর