তিন মাস পর খুলে দেয়া হলো বুড়িমারী স্থলবন্দর
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর ভারতের ১২টি পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে চালু হলো লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বুড়িমারী স্থলবন্দর।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেল থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়। এর আগে বুড়িমারী স্থলবন্দর গত ১০ জুন সচল হয়। ওইদিন সচল হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।
অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গত ৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের সাথে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার অনেক দিন থেকে বন্ধ আছে। বাংলাদেশ বারবার অনুরোধ করছে। অনেক জিনিসপত্র আটকে আছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমরা চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর ১ জুলাই খুলে দিচ্ছি।
এ ঘোষণার একদিন পর বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি চিঠি প্রদান করে। চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় স্থলবন্দরের হলরুমে আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে বিকেলের দিকে ভারতীয় ১২টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর মধ্য দিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর প্রায় তিন মাস পর সচল হয়।
এর আগে গত ৮ জুন বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকার শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ১০ জুন উভয় দেশের বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবসায়ীরা। ১০ জুন বন্দর চালু ও পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু হয় কিন্তু পণ্যবাহী যান আসা-যাওয়া করলে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে- এমন আশঙ্কায় ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা গ্রামের বাসিন্দারা বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশে বাধা প্রদান করে। প্রবেশকৃত ট্রাক ঘিরে ভারতীয় লোকজন হট্টগোল করায় উভয় দেশের স্থলবন্দর বন্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবুল বলেন, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি চালু করা হয়েছে।
রবিউল হাসান/বিএ