ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কক্সবাজারে চালু হলো আইসিইউ-এইচডিইউ

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ২০ জুন ২০২০

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উদ্বোধন হয়েছে ২০ শয্যার আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) বা নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং এইচডিইউ (হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিট)। এখন থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীসহ সব ধরনের শ্বাসকষ্ট থাকা রোগীকে ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম যেতে হবে না।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে শনিবার (২০ জুন) প্রধান অতিথি কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এই আইসিইউ-এইচডিইউ উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি এমপি কমল বলেন, আইসিইউ এবং এইচডিইউ কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই আমরা জরুরি ভিত্তিতে আইসিইউ-এইচডিইউ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাই। এ সময় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’ আমাদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন। হাসপাতালের আইসিইউ এবং এইচডিইউ নির্মাণের সব দায়িত্ব নেন তারা। কিন্তু লকডাউনের কারণে এটি নির্মাণে একটু দেরি হয়ে গেল।

jagonews24

তিনি বলেন, তাদের (ইউএনএইচসিআর) আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। বিদেশ থেকে উপকরণ আসতে দেরি হওয়ায় তা স্থাপনেও দেরি হয়েছে। দেরিতে হলেও আমরা কক্সবাজারে আইসিইউ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি এটিই সুখের খবর। এটি কক্সবাজারের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পূরণে অনেক ভূমিকা রাখবে। আইসিইউ যদি আগে প্রতিষ্ঠা করতে পারতাম তাহলে হয়তো অনেক আপনজনকে রক্ষা করা সম্ভব হতো। 

এমপি আরো বলেন, করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের আর কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রামে যেতে হবে না। কক্সবাজারেই দেশের সর্বোচ্চ সেবা পাবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমাদের আরো একটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হলো হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ। এটি নিয়েও আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এরও সমাধান করা যাবে।

একপর্যায়ে সদর আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনা করে প্রধান অতিথি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে একদিনের জন্য তিনি (লুৎফুর রহমান কাজল) জনগণের পাশে থাকেননি। অথচ ঘরে বসে সরকারের সমালোচনা করছেন। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। পারলে মানুষের কাছে এসে মানুষের সেবা করেন। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আপনার যদি করোনা ধরা পড়ে আমাকে খবর দেবেন। আমিই আপনার সেবা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সব মানুষের দায়িত্ব নিয়েছেন। ভয়ের কোনো কারণ নেই।

জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কক্সবাজারের সমন্বয়ক স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমানসহ প্রমুখ।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমকেএইচ