ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুমিল্লা সিটির ৪ ওয়ার্ডে চলছে লকডাউন

জেলা প্রতিনিধি | কুমিল্লা | প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ২০ জুন ২০২০

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের রেড জোন চিহ্নিত চারটি ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর শুক্রবার (১৯ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। চলবে আগামী ৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর নগরীর ৩, ১০, ১২ এবং ১৩ এলাকায় লকডাউন বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও স্বেচ্ছাসেবক টিম।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে- রেড জোন এলাকায় বসবাসরত ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে শুধুমাত্র একবার বের হতে এবং একবার প্রবেশ করতে পারবেন। লকডাউন এলাকায় সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। মসজিদে ওয়াক্ত নামাজের ক্ষেত্রে পাঁচজন এবং জুমার নামাজের ক্ষেত্রে ১০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পুলিশ, র্যাব, স্বেচ্ছাসেবক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক এসব বিষয় তদারকি করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে লকডাউনকৃত এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে স্ব-স্ব এলাকার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় তিনশ কর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

comilla2

জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সভা করে দলীয় কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ বলেন, সদরের আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে লকডাউনকৃত এলাকায় আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছি। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা এবং বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দুই শিফটে ভাগ হয়ে এসব দলীয় কর্মী প্রশাসনকে সহায়তা করবে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৩, ১০ ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডে জোনভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে। চারটি ওয়ার্ডের ৩৫টি পয়েন্টে লকডাউন নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশও কাজ করছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে পুলিশের একটি করে টিম রয়েছে। সেই সঙ্গে একজন করে ইন্সপেক্টর রয়েছেন। ৩৫টি পয়েন্টে চেকপোস্টসহ পুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ লকডাউনের বিষয় তদাররি করছেন।

কুমিল্লার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনভুক্ত এলাকায় বিশেষ স্বাস্থ্য টিম রয়েছে। কারও স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিলে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। যদি বাড়ির ভেতরে যেতে হয় তাহলে ভেতরে গিয়েও তারা চিকিৎসা সেবা দেবেন।

কামাল উদ্দিন/আরএআর/এমএস