খুলনায় আ.লীগ নেতাসহ ৭ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- জরিনা বেগম (৬০), মোহাম্মদ আলী (৬০), রুমা বেগম (৩৫), কার্তিক (৪০) ও জমশেদ আলম (৬০), নাসিম উদ্দিন (৬০) ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ফিরোজ আহমেদ তারু (৬৯)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৬ জুন খুমেকের ফ্লু কর্নারে ভর্তি হন মহানগরীর খালিশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গণির স্ত্রী জরিনা বেগম। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান। ১৭ জুন রাতে ভর্তি হন রূপসা উপজেলার খাজাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত আরশাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
১৮ জুন ফ্লু কর্নারে ভর্তি হন যশোরের অভয়নগর এলাকার বাসিন্দা বাবুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি মারা যান। একই ওয়ার্ডে ১৮ জুন ভর্তি হন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত নিতাইয়ের ছেলে কার্তিক। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে নাসিম উদ্দিন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে একইদিন দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভর্তি হন খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. আহমেদ আলীর ছেলে জামশেদ আলী। তিনি সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মারা যান।
এছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মৌলভী আহমেদ হোসেনের ছেলে ফিরোজ আহমেদ তারু মারা যান। তাকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ নিয়ে খুলনায় মোট ৫৭ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষার পর এদের মধ্যে কয়েকজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরএমও মিজানুর রহমান বলেন, মৃত সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর জানা যাবে কয়জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
আলমগীর হান্নান/এএম/জেআইএম