ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জন্ম নিরোধক ব্যবহারে পিছিয়ে সিলেট

প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নয়নের দিক থেকে সিলেট দ্রুত বিকাশমান বিভাগ হলেও জন্মনিরোধক কম ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের নারীরা। রক্ষণশীলতা ও স্বল্প শিক্ষার কারণে সিলেটের বিবাহিত নারীরা অন্যান্য বিভাগের নারীদের তুলনায় জন্মনিরোধক ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ জন্মসংখ্যা ও স্বাস্থ্য জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগ অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র্য হওয়ার পরও এ অঞ্চলের বিবাহিত নারীদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের আধিক্য দেখা যায়।

বিডিএইচএস ২০১৪ এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজশাহী অঞ্চলের ৬৯.৪ শতাংশ নারী জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করেন। আর রংপুরে ৬৯ এবং খুলনায় ৬৭.১, ঢাকায় ৬৩, বরিশালে ৬৩.৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগ ৫৫ শতাংশ ব্যবহার করেন। সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা সিলেট বিভাগের মাত্র ৪৭.৮ শতাংশ নারী জন্ম নিয়ন্ত্রকারী সামগ্রী ব্যবহার করেন।

এ প্রসঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ধর্মীয় রক্ষণশীলতা এবং দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে সিলেট অঞ্চলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের শতকরা হার নিচের দিকে।

এক প্রশ্নের জবাবে নূর হোসেন বলেন, তবে সিলেটে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের হার উৎসাহজনক। ১৯৭৫ সালে মাত্র ৮ শতাংশ বিবাহিত নারী জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করতো। যা বর্তমানে গড়ে ৬২ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পারভীন ফাতেমা বলেন, দেশে গড়ে ১৯৯৩-১৯৯৬ সালে ৪৫ শতাংশ, ১৯৯৯-২০০০ সালে ৫৪ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৫৮ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৫৬ শতাংশ, ২০১১ সালে ৬১ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ৬৩ শতাংশ নারী জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করতো।

আন্তর্জাতিক প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ (এফআইজিও) এবং বাংলাদেশ প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ সোসাইটি (ওজিএসবি) যৌথভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণে আইইউডি ব্যবহারে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই আইইউডি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি