বাগেরহাটে ১৩ মেগা প্রকল্প পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, মংলা-ঘসিয়াখালী চ্যানেলে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা খুলে দেয়া হবে। এই চ্যানেলে নাব্যতা ফিরে আসলে মংলা বন্দরের পণ্য পরিবহন সুবিধাসহ সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। শুক্রবার রামপালের ডাকরা কালিগঞ্জ ঘাটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
বাগেরহাটে ১৩টি মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আসা সরকারের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ সচিব মনোয়ার ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ সচিব পবন চৌধুরী, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন। এছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্টস সেলের মহাপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন দফতরের ৫৩ জন শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাগেরহাটে ১৩টি মেগা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ ১১ সচিব ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৫৩ জন শীর্ষ কর্মকর্তা দু’দিনের সফরে এখন বাগেরহাটে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাগেরহাাটের খান জাহান আলী বিমান বন্দর, মংলা-ঘসিয়াখালী নৌ চ্যানেল, খুলনা -মংলা রেললাইন, মংলা অর্থনৈতিক জোন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মংলার সাইলো, মংলা বন্দর, উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক জোন (ভেজা ১ ও ২) পরিদর্শন করবেন।
শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারের এ সকল শীর্ষ কর্মকর্তারা এসব প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি নিয়ে কয়েকটি বৈঠক করবেন বলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো.জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মংলা বন্দর আরো গতিশীল করতে ও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন, অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিদর্শনের পর এসব মেগা উন্নয়ন কাজে আরো গতি আসবে।
শওকত আলী বাবু/এসএস/পিআর