সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহীতে তিনজনের মৃত্যু
রাজশাহীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে থাকা রজদুল ইসলাম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিট রাজশাহীর খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত রজদুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জয়ন্তপুরের বাসিন্দা।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, ফুসফুসে ক্যান্সারসহ তার নানান শারীরিক সমস্যা ছিল। পেটে পানি জমে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে করোনার উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে বাড়তি সর্তকতা হিসেবে মরদেহ দাফনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামেক হাসপাতালে লুৎফর রহমান (৫২) নামের এক মাদরাসা শিক্ষক করোনায় মারা যান। বেলা পৌনেটার দিকে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুস্তাফিজুর রহমান (৫৩) নামের আরেক করোনা রোগী।
লুৎফর রহমান রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার মহিষকুণ্ডি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন তিনি। তার স্ত্রী গুলনাহার বেগম মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী।
মুস্তাফিজুর রহমান জয়পুরহাট সদরের সবুজনগর আমতুলি এলাকার বাসিন্দা। তিনি নওগাঁর তেবাড়িয়া এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সোমবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে এ দুজনের করোনা শনাক্ত হয়।
এই দুজনসহ বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা প্রাণ নিলো ২১ জনের। এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এক হাজার ৭৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৩৪৬ জন। সুস্থ হয়েছে ৩৯৮ করোনা রোগী।
ফেরদৌস/এমএএস/জেআইএম