উদ্ধার হওয়া ৪৮ টন সরকারি গম পাচ্ছেন আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তরা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া সেই ৪৮ মেট্রিক টন গম পাচ্ছেন আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থরা। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ব্যবসায়ীর নিকট এসব গম বিক্রি করা হয়।
সোমবার দুপুরে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এসব গম বিলি-বণ্টনের জন্য আদালতের নির্দেশনা পেয়েছে জেলা পুলিশ। এর আগে রোববার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ আদেশ জারি করেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি গম পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদে ৪৮ মেট্রিক টন গম উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। তারা কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে আদালত শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মাঝে গমগুলো বিতরণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের আদেশ অনুসারে জব্দকৃত ৪৭ হাজার ৮৫০ কেজি গমের মধ্যে ৫ কেজি আলামত হিসেবে রেখে বাকিটা আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি ও কৈখালী ইউনিয়নের জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিতরণের কৌশল ও কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এসব গম বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে (বুধবার) রাতে কালিগঞ্জের ধান চাল ব্যবসায়ী আব্দুল গফফারের সুলতানপুর এলাকার মনিমুক্তা রাইচ মিল গোডাউন থেকে ৫০ টন সরকারি গম উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রকল্প সভাপতি শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পবিত্র কুমার মণ্ডল, মনিমুক্তা রাইস মিলের ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম ও মনিমুক্তা রাইস মিল মালিকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনিকে আটক করে পুলিশ।
পরে দুদকের পক্ষ থেকে আটক তিনজনসহ ছয়জনকে আসামি করে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার পরিদর্শক নীল কমল পাল। পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক একটি জিডি করা হয়। জব্দকৃত এ গমের মূল্য ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/পিআর