ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৫

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ ও মাদরাসা ঘেরাও করে রাখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

অভিযুক্ত মাদরাসা সুপারের নাম আবু তালহা (৩০)। তিনি উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের সাহাডুবি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের সাহাডুবি গ্রামের ফাতেমাতুয যাহরা (রাঃ) মহিলা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

বীরগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের সাহাডুবি গ্রামের নির্জন এলাকায় একই গ্রামের মো. আব্দুল হামিদের ছেলে মুফতি জোবায়ের আহম্মেদ ২০১২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফাতেমাতুয যাহরা (রাঃ) নামে একটি মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে। তিনি ঢাকায় থাকার কারণে মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে ছোট ভাই মো. আবু তালহাকে। গত সোমবার তার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী মাদরাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত সুপারের বিচারের দাবি জানায়। এ সময় সুপার মাদরাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অভিযুক্তকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বুধবার বিক্ষুদ্ধ জনতা মাদরাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রকাশ করে।

যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর বড় ভাই জানান, কয়েক দিন আগে আমার বোন বাসায় আসে। আসার পর থেকে তার আচরণের পরিবর্তন দেখে আমার স্ত্রী কারণ জানতে চান। এ সময় সে কেঁদে ফেলে এবং সুপার তার সঙ্গে যেসব ঘটনা ঘটিয়ে সেগুলো জানায়। পরে আমি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে বিচার দাবি করি।

শিবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য মালা খান জানান, ইতোপূর্বে তার বিরদ্ধে অনেক মেয়েকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক পরিবার জানিয়েছে তাদের মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করা হতো। বিষয়টি তার বড় ভাই মুফতি জোবায়ের আহম্মেদকে জানানো হয়েছে। এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি।

বীরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং শান্ত।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এমদাদুল হক মিলন/এমএএস/আরআইপি