ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বারান্দায় গার্মেন্টসকর্মীর লাশ, কাছে যাননি স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ০৩ জুন ২০২০

জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামে নির্মল বৈদ্য (৪৮) নামে এক গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুন) সকালে তার মৃত্যু হয়। করোনাভাইরাসের উপসর্গে মৃত্যু হওয়ায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়ির বারান্দায় পড়েছিল তার মরদেহ।

পরিবারের সদস্যরা করোনা আতঙ্কে মরদেহের কাছে যায়নি। অবশেষে দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুর সহযোগিতায় নির্মল বৈদ্যের সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। নির্মল বৈদ্য বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামের অজিত কুমার বৈদ্যর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন নির্মল বৈদ্য। সেখানে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন তিনি। ১ মে বাড়িতে আসেন নির্মল। এরপর করোনা সন্দেহে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। নমুনা দিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন।

পরিবারের লোকজন তাকে পৃথক একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন। বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ভয়ে পরিবারের সদস্যরা কেউ কাছে যায়নি। মরদেহটি পড়েছিল ঘরের বারান্দায়। পরে প্রতিবেশীরা উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে মরদেহটি সৎকারের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর সহযোগিতায় ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সুজিত কুমার দাস, অমল হাজারী, পলাশ মন্ডল ও গ্রাম পুলিশ জসিম মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন।

মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, ইউএনও ইসরাত জাহানের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সহায়তায় মরদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের নয়। মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি বাটাজোর ইউনিয়নে। তারপরও বিষয়টি শুনে এড়িয়ে যেতে পারিনি। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব। আমি শুধু দায়িত্ব পালন করেছি।

সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ