ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নরসিংদীতে নতুন আক্রান্ত ৫১, উপসর্গ নিয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি | নরসিংদী | প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, ০৩ জুন ২০২০

নরসিংদীতে নতুন করে আরও ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬১৪ জন। এছাড়া করোনা উপসর্গে নূরে আলম খন্দকার (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে জেলার কোভিড হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নূরে আলম শহরের বাসাইল এলাকার আবদুর রহমান খন্দকারের ছেলে। তিনি ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নূরে আলম জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বুধবার সকালে তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহতের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল আসার পর বলা যাবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা। মরদেহ করোনা প্রতিরোধ সেলের কুইক রেসপন্স টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ সেলের কুইক রেসপন্স টিমের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, করোনা উপসর্গে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমাদের কুইক রেসপন্স টিম জেলা হাসপাতাল থেকে নূর আলমের মরদেহ গ্রহণ করে। পরে দুপুরে স্বল্প সংখ্যক লোক নিয়ে তার জানাজা পড়িয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।

এদিকে সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত সন্দেহে ১৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে সেসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে। এতে নতুন আরও ৫১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

নতুন আক্রান্ত ৫১ জনের মধ্যে ৩৭ জন নরসিংদী সদর উপজেলার, ৩ জন পলাশ উপজেলার, ২ জন মনোহরদী উপজেলার, ৫ জন শিবপুর উপজেলার ও ৪ জন বেলাব উপজেলার।

বুধবার পর্যন্ত জেলার মোট ৬টি উপজেলা থেকে ৪০৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১৪ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। জেলায় সংক্রমিতদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৩১ জন, রায়পুরাতে ৪১ জন, শিবপুরে ৪২ জন, বেলাবোতে ৪১ জন, পলাশে ৪৩ জন ও মনোহরদীতে ১৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন, আক্রান্ত ২৮ জন হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন আর ৩৬৭ জন নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন মোট ৭ জন। তাদের মধ্যে নরসিংদী সদরে ৫ জন, পলাশে ১ জন ও বেলাবো উপজেলায় ১ জন।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহীম টিটন বলেন, বর্তমানে নমুনা সংগ্রহের হার বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও ব্যাপক হারে বাড়ছে। নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা লোকজনেরও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।

সঞ্জিত সাহা/এফএ/পিআর