ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সুস্থ হয়েছেন টাঙ্গাইলের ৩০ ভাগ করোনা রোগী

জেলা প্রতিনিধি | টাঙ্গাইল | প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ০৩ জুন ২০২০

টাঙ্গাইলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ১৯১ জনের মধ্যে ৫৬ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। এ হিসাবে জেলায় মোট আক্রান্তের ২৯.৩১ ভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

বুধবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুসারে নতুন আক্রান্ত ৮। আর একজন মারা গেলেও সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে ভীত না হয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যানুযায়ী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৮ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন। বাসাইলে ৩ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ১ জন। সখীপুরে ৮ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৬ জন। মির্জাপুরে ৩৪ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৮ আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন। দেলদুয়ারে ২৩ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৪ জন। নাগরপুরে ২৪ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ১০ জন। ভূঞাপুরে ১০ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৭ জন। গোপালপুরে ১১ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৩ জন। কালিহাতীতে ১৪ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ২ জন। ঘাটাইলে ১৫ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৩ আর মারা গেছেন ২ জন। মধুপুরে ১৭ আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ ৩ জন আর ধনবাড়ীতে ১৪ আক্রান্তে মধ্যে সুস্থ ৪ জন। এখানে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।

৩ জুন নতুন ১২৯টিসহ এ জেলায় মোট করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ৫৫৯৫টি। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯১ জনের। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। এখনও ৫১৭টি নমুনার ফলাফল আসেনি।

জেলায় এ পর্যন্ত হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করেছেন ১১৪৪৪ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৪৪৬ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯৯৮ জন। এছাড়াও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ২, ঘাটাইলে ২, মধুপুরে একজনসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, এ জেলায় করোনায় আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার সন্তোষজনক। এছাড়াও জেলায় আক্রান্তরা বেশিরভাই হাসপাতালে না এসে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ কারণে করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কেউ যদি নিজেকে সুরক্ষিত রেখে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যান তাহলে তার সংক্রমিত হওয়ার তেমন কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/পিআর