করোনায় আক্রান্ত মেয়র আরিফের স্ত্রী
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামা হক চৌধুরীসহ জেলায় আরও ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জকিগঞ্জের একজন ইউপি চেয়ারম্যানও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জুন) এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় শ্যামা হকসহ অন্যদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। মেয়র পত্নীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। বর্তমানে শ্যামা হক আইসোলেশনে রয়েছেন।
এর আগে, গত ২৭ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে আছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সহধর্মিণী ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান।
এদিকে সিলেট জেলায় নতুন করে জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজসহ আরও ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। আক্রান্তদের মধ্যে দক্ষিণ সুরমায় একজন, ওসমানীনগর দুইজন, সদর উপজেলায় ৮ জন, জকিগঞ্জে ৫ জন, ফেঞ্চুগঞ্জে তিনজন, জৈন্তাপুর ৫ জন এবং বালাগঞ্জ দুইজন বলে জানা গেছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়েপড়া বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ধরা পরে গত ৮ মার্চ। আর সিলেট বিভাগে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৫ এপ্রিল। এরপর প্রতিদিন সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেনও রোগীরা।
সবশেষ মঙ্গলবার (২ জুন) সিলেট জেলার ২৬ জন এবং সুনামগঞ্জ জেলার ৩৯ জন নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৬০ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৬২৭, সুনামগঞ্জে ২১৩, হবিগঞ্জে ১৯২ এবং মৌলভীবাজারে ১২৮ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ২৩ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৭, মৌলভীবাজারে চারজন, হবিগঞ্জে একজন এবং সুনামগঞ্জে একজন।
অন্যদিকে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ৩১৪ জন রোগী। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৯৭, সুনামগঞ্জে ৬৩, হবিগঞ্জে ১০৩, মৌলভীবাজারে ৫১ জন।
ছামির মাহমুদ/এমআরএম