কুমিল্লায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত, তিনজনের মৃত্যু
করোনার হটস্পট হিসেবে খ্যাত কুমিল্লায় নতুন করে আরও ৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৬ জনে।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার কাউন্সিলর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ওঅ্যাম্বুলেন্স চালক রয়েছেন।
চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম ও মুরাদনগরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩ ব্যক্তির মঙ্গলবার করোনা পজিটিভ ফলাফল আসায় এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।মঙ্গলবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় দু’দফায় প্রাপ্ত করোনার ফলাফলের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার করোনার প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে নগরীতে ১৪ জন, চৌদ্দগ্রামে ১৬ জন, দেবিদ্বারে ১৪ জন, লাকসামে ৭ জন, বরুড়ায় চারজন, বুড়িচংয়ে নয়জন, মুরাদনগরে দুইজন, ব্রাক্ষণপাড়ায় নয়জন এবং আদর্শ সদরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলার লাকসামে মঙ্গলবার সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কান্তি সাহা (৪৬) ও লোকমান হোসেন (৪৪) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ইতোমধ্যে চৌদ্দগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার মারা যাওয়া কাজী আমির হোসেন (৭০) নামের এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ এসেছে। করোনায় মুরাদনগরে আরও এক ব্যক্তির মারা যাওয়ার খবর সন্ধ্যায় জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।
এদিকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক মিলু জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার চান্দিনার আবদুর রউফ মাস্টার (৮৫) নামে এক ব্যক্তি রোববার রাতে নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মারা যান। করোনা পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির ২ দফায়ই পজিটিভ ফলাফল আসে।
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে বিকেলে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, কুমিল্লায় এ পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৮৫ জনের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৬ জনের পজিটিভ ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।
এ দিকে আজ দেবিদ্বারে ১১ জন, মুরাদনগরে একজন ও বুড়িচংয়ে তিনজনসহ ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫৭ জন।
মো. কামাল উদ্দিন/এমএএস/পিআর