ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা রোগীদের বিনোদনের জন্য আইসোলেশনে টিভি দিলেন ডিসি

জেলা প্রতিনিধি | পঞ্চগড় | প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ০২ জুন ২০২০

 

পঞ্চগড়ের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের বিনোদনের জন্য ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন উপহার দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সবিনা ইয়াসমিন।

মঙ্গলবার (০২ জুন) দুপুরে জেলা করোনা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমানের হাতে টিভি তুলে দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, বোদা পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বোদা উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, আটোয়ারী উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, দেবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ করোনা মনিটরিং কমিটির সদস্যরা।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। তবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এজন্য দেবীগঞ্জ উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়।

এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ হাটবাজরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানোসহ তাদের খোঁজখবর রাখতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন নিশ্চিত করার জন্য পঞ্চগড় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে করোনা হাসপাতাল বানানো হয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্ত চারজনকে এই হাসপাতলের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি চিন্তা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেলিভিশন দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, করোনা রোগীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাদের যেকোনো সমস্যায় আমরা পাশে রয়েছি। সরকারিভাবে করোনা আক্রান্ত প্রতি ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। আমরা পুষ্টিকর খাবার তাদের মাঝে বিতরণ করেছি। করোনায় আক্রান্ত কেউ যেন ভোগান্তিতে না পড়েন, তা আমরা খেয়াল রাখছি। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকা রোগীদের বিনোদনের জন্য টিভি কিনে দিয়েছি। জেলায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সংস্পর্শে নতুন করে কেউ যেন আক্রান্ত না হন সেটা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

সফিকুল আলম/এএম/এমকেএইচ