ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জনসংহতি সমিতির অফিস-আদালত বর্জন কর্মসূচি চলছে

প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ২১ অক্টোবর ২০১৫

জনসংহতি সমিতির ডাকে পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে অফিস-আদালত বর্জন কর্মসূচি চলছে। বুধবার সকাল থেকে এ বর্জন কর্মসূচি শুরু হলেও রাঙামাটিতে অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমাসহ প্রায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ লোকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে কম। জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসনসহ জেলা সদরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।  

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকারকে রোডম্যাপ ঘোষণা দেয়ার দাবি জানায় জনসংহতি সমিতি। অন্যথায় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেয় তারা। কিন্তু ওই সময়ে জনসংহতির বেধে দেয়া আল্টিমেটামের মধ্যে দাবির ব্যাপারে কোনো রকম সাড়া দেয়নি সরকার।

এতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায়ে গত ১ মে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগে তিন পার্বত্য জেলায় হাটবাজার বর্জন, প্রতীকী অনশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করেছে জনসংহতি সমিতি। চলমান অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংগঠনটির আহ্বানে বুধবার তিন পার্বত্য জেলায় পালিত হচ্ছে অফিস-আদালত বর্জন কর্মসূচি।

জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ অফিস-আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর আগে হাটবাজার বর্জন, প্রতীকী অনশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘটসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় এবার তিন পার্বত্য জেলায় সব ধরনের অফিস-আদালত, ব্যাংক বীমাসহ সব প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া এবং কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি।

এদিকে সকালে জেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলতে দেখা গেছে। জেলা জজ আদালতেও স্বাভাবিক বিচারকার্য চলে। তবে কর্মসূচির সমর্থনে শহরের কোথাও কোনো পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়ে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এসএস/পিআর