ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মাদারীপুরে ৩ মামলা, গ্রেফতার ২

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ০১ জুন ২০২০

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মাদারীপুরে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। তিন মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৩১ মে) মাদারীপুরের রাজৈর ও সদর থানায় এসব মামলা করেন লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে নিহতদের পরিবার।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মে লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করে মানবপাচারকারীরা। নিহতদের অনেকেই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় রোববার মাদারীপুরের রাজৈর থানায় লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ চারজনের নামে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। এছাড়াও রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবু সাইদ খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরও একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় জুলহাস সরদারসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে একই ঘটনায় লিবিয়ায় নিহত মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের মো. শামিমের বাবা আব্দুল হালিম মিয়া বাদী হয়ে রোববার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় দালাল নজরুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই মামলার আসামি দিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিনা বেগম মানবপাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং দালাল নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিহত জুয়েল হাওলাদারের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার ও মা রহিমা বেগম বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস আগে আমাদের ছেলেসহ রাজৈরের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজনকে দালাল চক্র লিবিয়া নেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ নিয়ে যায়। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলি না নিয়ে বেনগাজীতে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এরপর ভয়েস রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমরা হোসেনপুরের জুলহাস সরদার নামে ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি। লিবিয়ায় গুলি করে অনেক বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলেকেও পাচারকারীরা হত্যা করেছে।

একই গ্রামের নিখোঁজ মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে মানিককে লিবিয়া নেয়ার কথা বলে দালাল জুলহাস প্রথমে চার লাখ টাকা নিয়েছে। পরে ছেলেকে বেনগাজী আটকে রেখে ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। আমি আমার ছেলেকে আনতে জুলহাসের বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসি।

রাজৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত জাহান বলেন, মানবপাচারের ঘটনায় রাজৈর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। দালাল জুলহাস দুটি মামলারই আসামি। একটি মামলায় সাতজন ও অপর মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজিটিভ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে।

মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, মানবপাচারের ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় দিনা বেগম নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/জেআইএম