ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দুই মাস পর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ রুটে লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচল শুরু

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সিগঞ্জ | প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ৩১ মে ২০২০

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দুই মাস বন্ধ থাকার পর দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটের সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। রোববার (৩১ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়া থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। শতশত যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। এ নৌ রুটে সকাল থেকে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। লঞ্চ চলছে ৮৭টি আর স্পিডবোট চলছে প্রায় ৪০০।

ঢাকামুখী এ সকল যাত্রীরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে গাদাগাদি করে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় মিশুক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির অপেক্ষায় কোনো যান নেই। দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীদের সংখ্যাও নগণ্য। তবে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ আছে।

লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. সুলেমান জানান, সকাল থেকে সবগুলো লঞ্চ চলছে। যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।

শিমুলিয়া ঘাটের লঞ্চ মালিক ইকবাল খান বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনেই লঞ্চ চালু করেছি। এ নৌ রুটে ৮৭টি লঞ্চ রয়েছে। সবগুলো লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের চাপ বুঝে তা চলাচল করবে। লঞ্চ ভাড়া পূর্বের ভাড়া অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে। যাত্রী সুরক্ষায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাত্রীদের আসন বিন্যাসেও কড়াকড়ি নির্দেশনা রয়েছে। পূর্বে যেখানে ১০০ থেকে ২০০ যাত্রী পার করা হতো এখন ৬০ থেকে ৭০ জন করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। তাছাড়া কিছুক্ষণ পর পর মাইকিং করে মাস্ক পরে লঞ্চে চলাচল করার জন্য যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে।

স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি সোহেল জানান, সকাল থেকে স্পিডবোটে কাঁঠালবাড়ী ও মাঝিকান্দির দিকে মাত্র ২০০ যাত্রী গেছে। অন্যদিকে কাঁঠালবাড়ী ও মাঝিকান্দি থেকে প্রায় হাজার খানেক যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে এসেছে।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হিলাল উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গমুখী পণ্যবাহী ২২৮টি ট্রাকসহ মোট ১৭৫৩টি যান গেছে এবং ঢাকামুখী ১৮৩টি পণ্যবাহী ট্রাকসহ মোট ৩২৪৪টি যান পার হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে বেশি ভাড়ার ব্যাপারে আমরা তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। কারণ, যে সকল বাহনে করে যাত্রীরা যাচ্ছে সেগুলো গণপরিবহণ নয়। তারপরও ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গত তিনদিনে রেকার বিল বাবদ ৭০টির বেশি যানকে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/আরএআর/পিআর