ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আক্কেলপুরে পানিতে ডুবে আছে ধান, গজিয়ে যাচ্ছে চারা

জেলা প্রতিনিধি | জয়পুরহাট | প্রকাশিত: ০৮:১৬ এএম, ৩১ মে ২০২০

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমি থেকে বৃষ্টির পানি ধীরে ধীরে নামার কারণে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অনেক জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পাকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।

গত রোববার ও মঙ্গলবার রাতে ঝড় বৃষ্টির সাথে শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ক্ষেতের পাট, পাকা ধান, সবজিসহ সবধরনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া গত সাতদিনের ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের চলতি মৌসুমের উঠতি ইরি-বোরো ধান। বৃষ্টির সাথে ঝোড়ো হাওয়ায় পাঁকাধানে যেন মই দেয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।কোথাও হেলে পড়েছে ধান, আবার কোথাও নষ্ট হয়েছে কলা গাছসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত।

কৃষকরা কিছু ধান কাটলেও বৃষ্টির কারণে মাড়াই করতে পারছেন না। এসব ধান দীর্ঘদিন বৃষ্টিতে থাকায় কৃষকের উঠানেই নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম।

সরেজমিনে, উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে অনেক কৃষক ঈদের আগে কিছু ধান কেটেছেন। তবে বেশিরভাগ জমিতেই ধান শুয়ে পড়ে আছে। এসব জমিতে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে আছে ধীর গতিতে জমির পানি নামছে।আবার অনেক কৃষক পড়া ধান কেটে তুলছেন সেগুলোতে চারা গজিয়েছে।

আক্কেলপুর পৌর এলাকার কৃষক সাইদুল ইসলাম, আমিনুর রশিদ ইকু ও নানটু সরদার বলেন, মাঠের সব ধান পেকে গেছে। প্রতিদিন রাতে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ধানের জমিতে পানি জমে গেছে।যেটুকু ধান কেটে তোলা হয়েছে সেগুলো রোদ না থাকায় কালচে হয়ে পচে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এবার ফলন ভালো হলেও বৃষ্টিতে অর্ধেক ধান নষ্ট হবে বলে জানান তারা।

আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, উপজেলায় এবার ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ইরি বোরো ধান। যা ৬ মে থেকে কাটা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ৫৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৪৫ ভাগ ধান। এসবে মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে বিরি ২৯, বিরি-২৯, বিরি-৮১, জিরাসাইল, হাইব্রিড এবং কাটারী ভোগসহ কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান।

আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, আম্ফান পরবর্তী উপজেলায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।

রাশেদুজ্জামান/এমএএস/পিআর