রাজশাহীতে চলছে কমিউনিটি সংক্রমণ
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দুই মাস পর অফিস খুলছে রোববার। এর আগে শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ৪০ জনের করোনা ধরা পড়লো। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন মাত্র তিনজন।
সবমিলিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩৭ জন। এ পর্যন্ত বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য দফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিভাগজুড়ে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ১৮ জনই বগুড়ার। বগুড়ায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯৩ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। আর করোনায় প্রাণ গেছে একজনের। এছাড়া এখন হাসপাতালে ভর্তি ৫৫ জন।
নতুন করে ১৩ জনের করোনা ধরা পড়ায় নওগাঁয় আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১১৯ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের করোনা ধরা পড়েছে জয়পুরহাটে। এ পর্যন্ত এই জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭২ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭০ জন। এখন হাসপাতালে ভর্তি ১৫৮ করোনা আক্রান্ত।
এছাড়া রাজশাহীতে নতুন করে দুইজন এবং সিরাজগঞ্জে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজশাহীতে ৫১ এবং সিরাজগঞ্জে ২৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে। করোনায় রাজশাহীতে দুইজন এবং সিরাজগঞ্জে একজনের প্রাণ গেছে। করোনাজয় করেছেন রাজশাহীর ১১ জন এবং সিরাজগঞ্জের তিনজন। এখনও রাজশাহীর আটজন এবং সিরাজগঞ্জের একজন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি।
নতুন করে করোনা ধরা পড়েনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও পাবনায়। এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাগঞ্জে ৫৪ জন, নাটোরে ৫৫ জন এবং পাবনায় ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আটজন, নাটোরের ১০ জন এবং সিরাজগঞ্জের সাতজন। এর মধ্যে নাটোরে একজনের প্রাণ নিয়েছে করোনা।
স্বাস্থ্য দফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, অনেক আগে থেকেই কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এখন প্রত্যেককে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। জনসমাগম এগিয়ে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে। বাইরে বের হলে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সচেতন না হলে অফিস খোলার পর করোনা আক্রান্ত বাড়বে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম