দিনাজপুরে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে বিষাক্ত স্পিরিট, ৯ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে স্বামী-স্ত্রীসহ নয়জনের মৃত্যুর পর অভিযানে নেমেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় দেখা যায় হোমিও চিকিৎসার আড়ালে অবৈধ স্পিরিটের (অ্যালকোহল) ব্যবসা করছে সরকার হোমিও হল।
সেখান থেকে চার হাজার ১০৪ বোতল বিষাক্ত স্পিরিট (অ্যালকোহল) উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরকার হোমিও হলের মালিক ডা. আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাজিউল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান ও বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার এ অভিযান চালান।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দিনাজপুর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. লোকমান হোসেন বলেন, বিরামপুরে বেশ কিছু হোমিও চিকিৎসালয়ে অবৈধভাবে বিষাক্ত স্পিরিট (অ্যালকোহল) বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরকার হোমিও চিকিৎসালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় ওই চিকিৎসালয় থেকে চার হাজার ১০৪ বোতল বিষাক্ত স্পিরিট উদ্ধার করা হয়।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, উপজেলায় যুবকরা বিষাক্ত স্পিরিট (অ্যালকোহল) পানে মারা যাচ্ছে এমন অভিযোগে অভিযান চালানো হয়।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলায় বিষাক্ত স্পিরিট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ নয়জন মারা যান। এ ঘটনায় পল্লী হোমিও হলের মালিক ডা. আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- পৌরশহরের ৬নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মতিন (২৭), তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৩), একই এলাকার সুলতান মাহমুদের ছেলে মহসিন আলী (৩৮), হঠাৎপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৩৫), শহরের ইসলাম পাড়া এলাকার তাপস কুমারের ছেলে অমৃত রায় (২৫), মাহমুদপুর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪২) এবং আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলিম (৪০)।
এছাড়া গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর সাত্তার (৩৭), শহিদুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (২১), গোলাম মোস্তফার ছেলে জাজেস শাহ (৩৮) আব্দুল খালেকের ছেলে শাহিন (৩২)। তারা সাবায় পৌরশহরের মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা।
এমদাদুল হক মিলন/এএম/পিআর