স্ত্রীর বিদায় বেলায় অঝোরে কাঁদলেন ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বীকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের গটিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই ছেলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় স্ত্রীর জন্য দোয়া করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ডেপুটি স্পিকার।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান মিজান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আনোয়ারা রাব্বীর মরদেহ বহনকারী গাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের গটিয়া গ্রামে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌঁছে। এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজা শেষে নিজ বাড়ির ওঠান সংলগ্ন মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।
গত ১৮ মে গাইবান্ধা-৫ আসনের বিভিন্ন উপজেলায় ঈদ উপহার বিতরণ করতে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগতে থাকা তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেদিনই ঢাকায় ফেরেন ফজলে রাব্বী মিয়া। প্রথমে তার স্ত্রীকে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ১৯ মে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে আনোয়ারাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আনোয়ারা রাব্বী ১৯৫১ সালে গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়ায় মরহুম আব্বাস উদ্দিন মিয়া ও জমিলা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় বোনের সবার বড় আনোয়ারা রাব্বী উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নকালে গাইবান্ধার সাঘাটার গটিয়া গ্রামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে ১৯৭০ সালের ৫ মার্চ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাংসারিক জীবনে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জননী আনোয়ারা রাব্বী। আগেই তার দুই ছেলে মারা যান।
জাহিদ খন্দকার/আরএআর/পিআর