ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে পাহাড়ের এক সংগঠন

প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৫

পাহাড়ে যুবকদের নিয়ে গড়ে উঠা সশস্ত্র সংগঠন ম্রো ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) সদস্যরা আত্মসমর্পণের পথে এগুচ্ছেন। স্বাভাবিক জীবনের আশায় এরই মধ্যে বৈঠকও করেছেন তারা।

এ লক্ষ্যে গত শুক্রবার বান্দরবান জেলার আলীকদম জোনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ম্রো আদিবাসীদের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আলীকদম জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মিজানুর রহমান, পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মাং সাই প্রু, অং প্রু ম্রো, এবং এমএনপির প্রতিনিধি হিসেবে আলীকদমের স্থানীয় চারজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবারের ওই বৈঠকে এমএনপির অনেক সদস্য অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যে সংগঠনে সক্রিয় থাকা আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক শতাধিক এমএনপি সদস্য আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ক্যাম্পে অস্ত্রসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন বলে জানা যায়।

ম্রো কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়ংলক ম্রো জানান, আমরাও চাই সশস্ত্র এমএনপি সদস্যরা অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। দেশের উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করুক।

জানা যায়, জেলার আলীকদমের কুরুক পাতা, নিয়াদুই পাড়া, মারান পাড়ার, রেংসক পাড়া, সংএ পাড়া, থানচি উপজেলার চাকুপাড়া, চাইয়াং পাড়া,  অম্পুং পাড়ার, ওয়াকপাড়া, বোডিংপাড়া, অমই পাড়া, লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের মংহ্লাপাড়া, লুলেং হেডম্যান পাড়া, নিওয়াকপাড়ার এবং রুমা উপজেলার ফতেসিংপাড়ায় থাকা এমএনপির অনেক সদস্য আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।

এদিকে বৈঠকে থাকা সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য অংপ্রু ম্রো’র মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১১ সালের কোনো এক সময় আলীকদম-থানচি উপজেলার গহীণ অরণ্যে স্বল্প সংখ্যক ম্রো যুবকদের নিয়েই গঠিত হয়েছিল ম্রো ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। আর এ সংগঠনের প্রধান ছিলেন মেনচিং ম্রো। পরে ২০১২ সালে দেশীয় ও আধুনিক অস্ত্র নিয়ে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জড়িয়ে পড়ে সংগঠনটি।

জানা যায়, একই বছরে এমএনপির প্রধান গ্রেফতার হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন পালে ম্রো। তবে একই বছরের ৭ জুন সংগঠনটি দায়িত্ব পাওয়া পালে ম্রো প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন।

এছাড়াও যৌথবাহিনীর কয়েক দফা অভিযানে গ্রেফতার হয় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকর্মী। অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে সংগঠনটি, স্থবির হয়ে পড়ে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলে উদ্যোগ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধি।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন জানান, এ বিষয়ে সেনাবাহিনী থেকে আমাকে কিছু জানায়নি। তবে আজ মঙ্গলবার অস্ত্রসমর্পণ করা হতে পারে বলে বিষয়টি শুনেছি।

এমএএস/আরআইপি