লোক-লজ্জার ভয়ে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতেই করোনা উপসর্গে মৃত্যু
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে করোনার উপসর্গ নিয়ে শারমিন আক্তার (২৩) নামে চট্টগ্রাম ফেরত এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলের দিকে মানিছড়ির যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার গ্রামের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শারমিন আকতার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা মো. কোরবান আলীর মেয়ে। তিনি চট্টগ্রামের একটি কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রতন খীসা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়ায় ওই পোশাক শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজ তামান্না মাহমুদ জানিয়েছেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ায় ওই নারীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের সবাইকে ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে।
জানা গেছে, প্রশাসনের নজরদারি ফাঁকি দিয়ে গেল ১৯ মে গ্রামের বাড়িতে আসেন পোশাক শ্রমিক শারমিন আকতার। ওই নারী কয়েকদিন থেকে সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। করোনার উপসর্গ থাকায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিতে বললেও লোক-লজ্জার ভয়ে তা গোপন রাখে পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/পিআর