করোনা দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা সেই কাউন্সিলর করোনায় আক্রান্ত
সিলেট সিটি করপোরেশনের চারবারের কাউন্সিলর, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা আজাদুর রহমান আজাদসহ নতুন করে আরও ২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই চিকিৎসকও রয়েছেন।
রোববার (২৪ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১৩ জন, গোলাপগঞ্জের ১১ জন, মৌলভীবাজারের জুড়ির একজন। জুড়ির এ রোগী বর্তমানে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আছেন।
রোববার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, রোববার ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্সিলর আজাদ বলেন, শরীরে জ্বর জ্বর অনুভব হওয়ায় শনিবার ওসমানীর ল্যাবে নমুনা দেই। রোববার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হই।
সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। একই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন তিনি।
আজাদ মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য ভেঙে দেয়া কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। করোনাকালীন সংকটে নিজ ওয়ার্ডে অসহায় মানুষদের মধ্যে ব্যাপক খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সুনামগঞ্জ জেলার তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৬৫ জন। আর সিলেট জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৮ জন। বিভাগের চার জেলার মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা সিলেট জেলায়। এ জেলায় করোনায় মোট মারা গেছেন ১০ জন।
বিভাগের অপর তিন জেলার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় মারা গেছেন দুইজন, হবিগঞ্জ জেলায় একজন এবং সুনামগঞ্জ জেলায় কেউ মারা যাননি। সুনামগঞ্জে মোট আক্রান্ত ৯৮ জন, হবিগঞ্জে ১৫৯ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৯০ জন।
এদিকে, সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৮ জন, সুনামগঞ্জে ৫২, হবিগঞ্জে ৭৩ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় নয়জন।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমএসএইচ