ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

থানার মধ্যে জুয়ার আসর, এএসআই-কনস্টেবল ক্লোজড

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ২৪ মে ২০২০

বরগুনার বামনা থানার মধ্যে জুয়া খেলায় পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ দুজনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়া ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন- বামনা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হুমায়ুন এবং কনস্টেবল সুমন মাহমুদ। শনিবার (২৩ মে) রাতে তাদের প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

জানা গেছে, এএসআই মো. হুমায়ুন এবং কনস্টেবল সুমন মাহমুদের থানার মধ্যে জুয়া খেলার দুটি ছবি শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তাদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন বলেন, অস্বীকারের তো কিছু নেই! আমরা অনেক আগে নিজেরা ব্যারাকে দুষ্টুমি করেছিলাম। আমাদের নিজেদের ভেতরের একজন সেই সময়ে গোপনে ছবি তুলে রেখেছিল। এখন তা প্রকাশ হয়েছে। এজন্য আমাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে থানার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের এমন কর্মকাণ্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়ায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। থানার মধ্যে জুয়া খেলে যেসব পুলিশ সদস্য পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন- কেউ কেউ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এ ঘটনার ছবি যারা ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ওবায়দুল কবীর দুলাল বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা এ ঘটনাকে অনেক আগের বলে অবহিত করতে চাইলেও, তাস খেলার সময় তাদের পাশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখে বোঝা যায় ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, থানার মধ্যে টাকার বিনিময়ে তাস খেলা যেমন অন্যায়, তেমনি এ ঘটনায় বাহিনীটিরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে ব্যাপকভাবে। তাই এ ঘটনার দায় বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এড়াতে পারেন না।

এ বিষয়ে বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এস মাসুদুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যেই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তদন্ত শেষে তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, জুয়া খেলার ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যেই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/আরএআর/পিআর