কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যাওয়া স্বামী-স্ত্রীর করোনা পজিটিভ
চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যাওয়া রাবেয়া বেগম (৭২) এবং তার স্বামী গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান পাটোয়ারী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বুধবার (২০ মে) তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
এছাড়াও জেলায় নতুন করে আরও ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চাঁদপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪ জন।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার ৮৫ জনের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মারা গেছেন তিনজন।
তিনি বলেন, শহরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত স্বামী-স্ত্রীসহ মারা যাওয়া আরেকজনের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা হলো ৮ জন।
সিভিল সার্জন জানান, নতুন করে করোনা পজিটিভ আসা জীবিত ১৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে।
এর আগে শহরের চিত্রলেখা মোড় এলাকার বাসায় সোমবার (১৮ মে) রাত ৮টার দিকে মারা যান রাবেয়া বেগম। এরপর মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান পাটোয়ারী।
একই বাসায় থাকা মজিবুর রহমানের কলেজশিক্ষক ছেলে এবং স্কুলছাত্র নাতি গত ছয়দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর থেকে তারা বাসায়ই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পরিবারের দুজন সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এবং তাদের কিছু উপসর্গ থাকায় গত রোববার (১৭ মে) তাদের নমুনা সংগ্রহ করে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
তাদের ছেলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক (পিআর) আনোয়ার হাবিব কাজল বলেন, আমার মা সোমবার রাতে শহরের চিত্রলেখা এলাকার বাসায় মারা যান। এরপর রাত সাড়ে ৩টায় আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করে শহরের বাসায় আসি। এর দেড় ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বাবাও মারা যান। আমরা সবার কাছে দোয়া চাই।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন জানান, মারা যাওয়া দুজনের ছেলে এবং নাতির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে গত ১৩ এপ্রিল। যেহেতু তাদের পরিবারের দুজন ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরও কিছু উপসর্গ ছিল। তাই ১৭ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আরএআর/এমএস