৭ নম্বর বিপদ সংকেতও তোয়াক্কা করছেন না তারা
দেশের উপকূলজুড়ে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে সব প্রকার নৌযান। এরই মধ্যে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বরগুনার বিষখালী নদীতে চলাচল করছে ট্রলার।
মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, বিষখালী নদীর বরইতলা-বাইনচটকি ফেরিঘাট থেকে একের পর এক যাত্রীবাহী ট্রলার ছেড়ে যাচ্ছে নদীর অপর প্রান্তে। এ সময় আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। দমকা হাওয়া থাকলেও কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না ট্রলার চালকসহ সংশ্লিষ্টরা। শুধু খেয়াঘাটের ট্রলার নয়; এ সময় বিষখালি নদীতে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রলারকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলাকালীন এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় খেয়াঘাটের ট্রলার চলাচল অব্যাহত রাখাকে চরম কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছেন বরগুনার সচেতন মহল।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে খেয়া চলাচল অব্যাহত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে, খেয়াঘাটের ইজারাদারসহ ট্রলার চালকরা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করে কথা বলেছেন তারা।
বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংবাদিক মনির হোসেন কামাল বলেন, প্রশাসনের কড়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু কিছু স্থানে ট্রলার চলাচলের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যেখানে প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে দিনরাত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেখান এভাবে টলার চলাচল মানুষের জীবন হুমকিতে ফেলে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জেলাজুড়ে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই কোথাও কোনো প্রকার নৌযান চলাচল করার সুযোগ নেই। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিষখালী নদীতে ট্রলার চলাচল করছে এটি আমাদের জানা ছিল না। আমরা এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/এমএস