রাজশাহীতে করোনা আক্রান্তের রেকর্ড
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে রেকর্ড সংখ্যক ৬০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নাটোরে ৩০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২১ জন, বগুড়ায় আটজন এবং রাজশাহীতে একজন।
এর আগের দুইদিনে বিভাগে ৩৩ জনের করোনা শানাক্ত হয়। সবমিলিয়ে বিভাগে এখন করোনা ধরা পড়ল ৪১৮ জনের। মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ৪১৮ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৪০ করোনা রোগী। করোনায় প্রাণ গেছে বিভাগে তিনজনের। তবে করোনাজয় করে ঘরে ফিরেছেন ৭৩ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, বিভাগে করোনার হটস্পট জয়পুরহাট জেলায় সবমিলিয়ে করোনা ধরা পড়েছে ১১৫ জনের। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা শনাক্ত হয়নি। জেলার ১০৯ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনাজয় করে ঘরে ফিরেছেন এখানকার ৩৩ জন।
বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা ধরা পড়েছে বগুড়ায় ৮৬। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে আটজনের। এখানকার ২২ করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। করোনাজয় করেছেন বগুড়ার ১১ জন।
নওগাঁয় ৮৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় ধরা পড়েনি করোনা রোগী। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার চার রোগী। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ করোনা আক্রান্ত।
দুইদিন আগেও নাটোর করোনা রোগী ছিলেন বিভাগের সর্বনিম্ন ১৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিনজন যুক্ত হওয়ায় এই জেলায় এখন করোনা আক্রান্ত ৪৩ জনে দাঁড়াল। তবে হাসপাতালে ভর্তি হননি নাটোরের কোন রোগী। সুস্থ হননি কেউই। করোনায় এই জেলায় মারা গেছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন করোনা রোগী ৩৭ জন। এখানকার কোনো রোগী এখনও হাসপাতালে ভর্তি হননি।
নতুন একজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত দাঁড়াল ২১ জনে। এখানকার চারজন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনাজয় করেছেন জেলার সাতজন। করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েনি পাবনা ও সিরাজগঞ্জে। এর মধ্যে পাবনায় ১৭ এবং সিরাজগঞ্জে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে একজন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩৩ হাজার ১৩৬ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৫ হাজার ১২৬ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫১১ জনকে। এদের ৩১৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৩৪৪ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩৮ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, বিভাগের অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের উপসর্গ প্রকাশ হয়নি। এদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। তারা ভালো আছেন। আর যারা কিছুটা অসুস্থ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সার্বক্ষণিক তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমকেএইচ