কৃষকের সবজি কিনে মানুষকে ফ্রি দিচ্ছে সেনাবাহিনী
বান্দরবানে দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বিনামূল্যে ‘এক মিনিটের বাজার’ উদ্বোধন করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার (১৭ মে) বান্দরবান স্টেডিয়ামে এ বাজার উদ্বোধন করেন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান।
বাজার থেকে বিনামূল্যে মানুষকে আট প্রকারের দ্রব্যসামগ্রী দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে, চাল, আলু, ঢেঁড়শ, শসা, বরবটি, শাক, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচা মরিচ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ এড়ানোর পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে বান্দরবানে এক মিনিটের বাজার চালু করেছে সেনাবাহিনী। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে শুক্রবার সকাল ১০টায় বসে এক মিনিটের বাজার। বাজারে আসা ব্যক্তিরা জীবাণুনাশক টানেলের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হচ্ছেন । পরে হাত জীবাণুমুক্ত করে বাজারে মাস্ক পরে একে একে প্রবেশ করছেন সবাই।
প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দুস্থরা টেবিলের ওপর সাজানো চাল, আলু, ঢেঁড়শ, বরবটি, কাঁচা মরিচসহ নানা ধরনের সামগ্রী বিনামূল্যে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারের কোথাও ভিড় নেই। সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগে খুশি অসহায়রা। বাজার থেকে ১৫০ জন মানুষ বিনামূল্যে খাবার নিয়ে যান।
বাজার নিতে আসা রাহিমা বেগম বলেন, সেনাবাহিনী বান্দরবানে গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তারা আজ বিনামূল্যে বাজার চালু করেছে।
সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য মূলত আমাদের এই আয়োজন। করোনার কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকা এবং মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণে কৃষকের ফসল জমিতে নষ্ট হচ্ছে। তারা উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে না পারায় আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই কারণে কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদিত ফসল সেনাবাহিনী ন্যায্যমূল্যে কিনে অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করছে।
তিনি বলেন, বান্দরবান রিজিয়ন ও সদর সেনা জোনের অক্লান্ত পরিশ্রমে এক মিনিটের বাজার নামে এ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। বাজারের দ্রব্যগুলো প্রান্তিক কৃষকের ক্ষেত থেকে প্রতিনিধির মাধ্যমে ক্রয় করা হয়েছে। তাতে এই দুঃসময়ে কৃষকেরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি যতদিন থাকবে এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে আমাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আখতার উস সামাদ রাফি ও মেজর ইফতেখার, জিএসও-২ ও সেনাসদস্যরা।
সৈকত দাশ/এএম/এমকেএইচ