ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনার মধ্যে হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি

জেলা প্রতিনিধি | গাজীপুর | প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ১৭ মে ২০২০

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ের এক কর্মী কর্তৃক হাসপাতালের সিনিয়র এক নার্সকে গুলি করে হত্যার হুমকি ও এক নার্সকে নির্যাতনের অভিযোগে কর্মবিরতি পালন করেছেন হাসপাতালের নার্সরা। রোববার হাসপাতালের গেটে অবস্থান নিয়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

নার্সদের কর্মবিরতির জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হাসপাতালের আউট সোর্সিংয়ের কর্মচারী তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় গত শনিবার বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসীদের নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। এ সময় হাসপাতালে নার্সদের রুমে গিয়ে তার নির্দেশমতো হাসপাতালে কাজ করার জন্য বলেন। এতে সিনিয়র নার্স মশিউর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে মারার হুমকি দেন। পরে তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মশিউর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, আমরা সরকারি কর্মচারী হয়েও একজন আউটসোর্সিং কর্মচারীর কাছে প্রায় সময় লাঞ্ছিত হই। হৃদয়কে হাসপাতাল থেকে বিদায় না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, আউটসোর্সিং কর্মী হৃদয়ের বিরুদ্ধে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পারভেজ আহমেদের কাছে বার বার মৌখিক অভিযোগ দেয়া হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

অপর এক নার্স সালমা আক্তার জানান, গত পাঁচ মে তাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন হৃদয়। টাকা না দিলে মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করবে বলেও তার পরিবারকে জানান। পরে তার পরিবার পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

হাসপাতালের আউট সোর্সিংয়ের কর্মচারী অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম হৃদয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, পূর্বের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। তবে আজ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমকেএইচ