রাজশাহী বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ৩২৫ জন
রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৫ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে ১৫ জনের। রোববার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত ৩২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১০ করোনা রোগী। করোনায় প্রাণ গেছে বিভাগে দুইজনের। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন ৬৬ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, বিভাগে এখনও করোনার হটস্পট জয়পুরহাট জেলা। সবমিলিয়ে এই জেলায় করোনা ধরা পড়েছে ৮৭ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ জনের। জেলার ৮২ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করে ঘরে ফিরেছেন এখানকার ২৯ জন।
বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা ধরা পড়েছে নওগাঁয় ৮৩ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। করোনা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখানকার ৪ রোগী। এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায়। এরমধ্যে বগুড়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ জনের। এখানকার ২০ করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন বগুড়ার ১১ করোনা আক্রান্ত।
রাজশাহী জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২০ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ধরা পড়েছে একজনের। জেলায় করোনা জয় করেছেন ৬ জন। তবে এখনও চিকিৎসাধীন ৩ করোনা আক্রান্ত।
এর বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় ১৬ জন করে, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন এবং নাটোরে ১৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে ৩ জন এবং পাবনায় একজন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। করোনায় রাজশাহীর পর নাটোরে প্রাণ হারিয়েছেন আরেক রোগী।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে, বিভাগে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩১ হাজার ৪৮৭ জনকে। এরমধ্যে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২৩ হাজার ৮২৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৫০১ জনকে। এদের ৩০২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। চিকিৎসার জন্য ৩০৭ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২৪ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, বিভাগের অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের উপসর্গ প্রকাশ হয়নি। এদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। তারা ভালো আছেন। আর যারা কিছুটা অসুস্থ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সার্বক্ষণিক তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর