সিলেটে এক রোগীর সংস্পর্শে শিশুসহ ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসায় শিশুসহ আরও ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (১৬ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
রোববার (১৭ মে) দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের টিকরবাড়ি এলাকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা ৪২ জনসহ মোট ৫৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে টিকরবাড়ি এলাকার ১৩ জন ও আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামের একজন রয়েছেন। টিকরবাড়ি এলাকায় শনাক্ত হওয়া ১৩ জনই একই বাড়ির বাসিন্দা। ওই বাড়ির এক বৃদ্ধের আগে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
ডা. মনিসর চৌধুরী আরও জানান, ওই বৃদ্ধ প্যারালাইস রোগে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেয়ার সময় করোনায় আক্রান্ত হন। শনিবার রাতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪ জন পুরুষ, ১৭ থেকে ৪০ বছর বয়সের ৯ জন নারী এবং ৬ বছরের এক শিশু রয়েছে।
এদিকে টিকরবাড়ির ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হওয়া বাড়িটি আগেই লকডাউন করা হয়েছে। সুন্দিশাইল গ্রামের একজনের বাড়ি লকডাউন ও তাদের পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ নিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জন। গোলাপগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রোববার থেকে পৌর এলাকার নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) রাতে পৌরসভার এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। পৌর এলাকায় যাতে আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না হয় এ জন্য জনগণের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর