ভৈরবে করোনা উপসর্গ নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের পলতাকান্দা এলাকায় অমিও দাস নামের এক মাছ ব্যবসায়ী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
অমিও দাসের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বৃহস্পতিবার নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায়। রিপোর্ট আসার আগেই তিনি মারা গেলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন যাবত অমিও দাসের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এই অবস্হা দেখে বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের মাধ্যমে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায়।
শুক্রবার দুপুরে তার শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাশি ও গলা ব্যথা বেড়ে গেলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বিকেলে অ্যাম্বুলেন্সযোগে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত সাড়ে ১০ টায় তিনি মারা যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( রাত ১টা) তার লাশ হাসপাতাল থেকে ভৈরবে আসেনি। তবে রাতেই লাশ ভৈরবে পৌঁছতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, অমিও দাসের করোনা উপসর্গের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্ত রিপোর্ট এখনও আসেনি। এরই মধ্য শুক্রবার বিকেলে তার শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও গলা ব্যথা বেড়ে গেলে পরিবারের সদস্যরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তার এ অবস্থা দেখে আমরা তাকে রেফার্ড করে দ্রুত কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান বলে খবর পেয়েছি। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টটি পাওয়া গেলে প্রমাণ হবে তিনি করোনায় পজেটিভ না নেগেটিভ ছিলেন।
তবে লাশ ভৈরব আনার পর করোনা কমিটির তত্ত্বাবধানে দাহ করার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
আসাদুজ্জামান ফারুক/জেডএ