সিলেটে চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত
সিলেট বিভাগে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বুধবার ঢাকা ও সিলেটে পৃথকভাবে ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষায় চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২২ জন ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করে আরও আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
জানা গেছে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা জটের কারণে বর্তমানে নতুন সংগৃহীত নমুনা পাঠানো হচ্ছে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে। গত পাঁচদিন থেকে বিভাগের চার জেলার নতুন সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বুধবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় ২২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সিলেট জেলায় পাঁচজন, সুনামগঞ্জের ১২ ও হবিগঞ্জ জেলার পাঁচজন। সিলেট জেলায় আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে বিশ্বনাথ থানার চারজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। এই চারজনের কারও শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না।
বুধবার (১৩ মে) রাতে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, গত ১০ মে মোট আটজন পুলিশ সদস্যের শরীরের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে চার কর্মকর্তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তরা হলেন- এসআই ফজলুল হক, সমুজ মিয়া, এএসআই হেলাল আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানান, আক্রান্তদের কোনো উপসর্গ ছিল না। তারা রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। রিপোর্ট পাওয়ার পরপর তাদের সিলেট নগরের রিকাবীবাজারে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান জানান, ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে বুধবার বিকেলে ৩টায় ঢাকা থেকে ই-মেইলে জানানো হয় ২২ জনের করোনা ধরা পড়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় রাতে জানান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে বুধবার ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আটটির রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪৬ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৯৩ জন, সুনামগঞ্জে ৬৮ জন, হবিগঞ্জে ১২৯ জন ও মৌলভীবাজার জেলা ৫৬ জন। এই বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৯ জন।
ছামির মাহমুদ/বিএ