ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা প্রতিরোধে পুলিশ কর্মকর্তার অত্যাধুনিক মেশিন উদ্ভাবন

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ১২ মে ২০২০

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাত-দিন মাঠে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ। ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন সরকারি কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। তবে সবকিছু উপেক্ষা করেই মাঠে রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রকৃত বন্ধু হয়ে যেমন জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ তেমনি জীবন বাজি রেখে মাঠে কাজ করছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও বেড়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন.ম আবুজর গিফারী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে রয়েছেন, ছুটছেন দিন-রাত। এ অবস্থায় ইউএনও ও তার পরিবারকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বাসভবনের সামনে জীবাণুনাশক স্প্রে স্থাপন করে দিয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপ্তেশ রায়। দীপ্তেশ রায় শ্যামনগর থানা পুলিশের এসআই।

এসআই দীপ্তেশ রায় বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে নিজের আগ্রহ থেকে ২০ এপ্রিল শ্যামনগর থানায় একটি জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন স্থাপন করি। এটি দেখে অনেকেই প্রশংসা করেন। এসপি আমাকে ডেকে নিয়ে মেশিনটির মেকাপ বা সার্বিক বিষয় জানতে চান। আমিও স্যারকে বিষয়টি অবহিত করি।

তিনি বলেন, এটি তৈরি করতে খুব বেশি খরচ হয় না। একটি পানির ট্যাংক, সেন্সর, মোটর ও স্ট্রাকচার প্রয়োজন পড়বে। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। থানায় এটি স্থাপনের পর ইউএনও উদ্ধুদ্ধ হয়ে তার বাসার সামনে একটি স্থাপন করে দেয়ার কথা জানান। সোমবার (১০ মে) আমি সেটি বসিয়ে দিয়ে এসেছি।

শ্যামনগর থানা পুলিশের ওসি নাজমুল হুদা বলেন, এসআই দীপ্তেশ রায় অত্যন্ত মেধাবী। বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম শ্যামনগর থানায় নিজ মেধায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ডিসইনফেকশন মেশিন উদ্ভাবন করে তা স্থাপন করেন। যা থানা পুলিশের সদস্যরা ব্যবহার করছেন।

ওসি বলেন, এরপর অনেকেই এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হন। ইউএনওর বাসায় একটি বসিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। পরে দীপ্তেশ নিজ হাতে সেখানেও একটি মেশিন বসিয়ে দিয়েছে। দীপ্তেশের জন্য আমরা পুলিশ বিভাগ গর্ববোধ করি। অন্য কেউ নিজ বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে করে দেয়া হবে।

পুলিশ বিভাগ ও এসআই দীপ্তেশ রায়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, আমি জীবাণুনাশক মেশিনটি ব্যবহার করছি। ট্যাংকিতে ডেটলমিশ্রিত পানি দিচ্ছি। মেশিনের ভেতর দাঁড়ালে জীবাণুমুক্ত পানি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে জীবাণুমুক্ত থাকার উপায় এটি। শরীরকে জীবাণুমুক্ত করতে এটি কার্যকর।

তিনি বলেন, আমরা শ্যামনগর থানার ২০ জন পুলিশকে কোভিড অরিয়ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাদের সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান করছি। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মাঝে সনদ ও এন-৯৫ মাস্ক প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সদস্যরা, করোনা পরিস্থিতিতে মাঠে সুরক্ষিত থেকে কাজ পরিচালনা করতে পারবে।

এদিকে, নতুন এই উদ্ভাবনের জন্য পুলিশের এসআই দীপ্তেশ রায়কে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আকরামুল ইসলাম/এএম/পিআর