নেত্রকোনায় ওসি ইউএনওসহ ১৩ জনের করোনা পজিটিভ
নেত্রকোনায় আজ ইউএনও, থানা পুলিশের ওসি ও এক চিকিৎসকসহ আরও ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো। নেত্রকোণার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আক্রান্ত ইউএনও ও পুলিশের ওসির নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক।
এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে পূর্বধলায় তিন চিকিৎসক, খালিয়াজুরীতে এক চিকিৎসক, আটপাড়ায় এক, সদরে এক ও বারোহাট্টায় একজনসহ মোট সাত চিকিৎসক, তিন জন নার্স ও নয় জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মোট ১৭৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় এসব রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
জেলায় মোট আক্রান্ত ৮৭ জনের মধ্যে ৫৩ জনই পোশাককর্মী। বাকিদের মধ্যে ৭ জন চিকিৎসক, একজন ইউএনও, একজন পুলিশের ওসি, ৯ স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, একজন এনজিওকর্মী, দুজন রাজমিস্ত্রির সহযোগী, দুজন কৃষক ও একজন শিশু রয়েছেন।
আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আগত। বাকিদের মধ্যে নরসিংদী, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলা রয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্ষে আসা ব্যক্তির সংখ্যা মোট ১৮২ জন এবং জেলায় মোট চিহ্নিত স্পট ২৫টি।
জেলা সির্ভল সার্জনের কাযালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুজনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজন খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স (২৮)। অপরজন সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা (৫০)। হাসপাতালের ওই নার্স তার নিজ বাড়ি গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ৬ এপ্রিল কর্মস্থলে যোগদান করে তিন দিন ডিউটি করেন। এরপর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আর লক্ষ্মীপুরের ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকে গত ৯ এপ্রিল সর্দি-জ্বরসহ করোনার লক্ষণ নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর তার পাঁচ বছরের মেয়েটিও আক্রান্ত হয়। অবশ্য ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যান।
কামাল হোসাইন/এফএ/এমএস