ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৯ জন করোনা আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট | প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ১০ মে ২০২০

সিলেটে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. আব্দুর রহমান মুসাসহ বিভাগে নতুন করে আরও ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

জানা গেছে, গত শুক্র ও শনিবার সিলেট বিভাগের ৩৫৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ঢাকায়। ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে নমুনাগুলো পরীক্ষার পর ৯ জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনার অস্তিত্ব।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজ রোববার সকালে ঢাকা থেকে ইমেইলের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত এই ৯ জনের মধ্যে সিলেট জেলায় ৪ জন, সুনামগঞ্জে ১ জন, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২ জন করে রয়েছেন।

জানা গেছে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনাজট থাকায় সিলেট বিভাগে নতুন সংগৃহীত নমুনা বর্তমানে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা পড়েছে।

জানা যায়, গত ৩ মে সিলেটের বিশ্বনাথে এক প্রসূতির করোনা শনাক্ত হয়। তিনিই উপজেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। ওইদিন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে ওই নারীর বাড়ি লকডাউন করতে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. আব্দুর রহমান মুসা। পরদিন ৪ মে সোমবার তিনি নিজের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠান। এর ছয়দিন পর রোববার (১০মে) রিপোর্টে ডা. আব্দুর রহমান মুসার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বর্তমানে তিনি ৫০ শয্যার ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছেন।

এনিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে সর্বমোট ২৭৯ জন আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৮৬ জন, সুনামগঞ্জে ৬০ জন, হবিগঞ্জে ৯৩ জন ও
মৌলভীবাজার জেলায় ৪০ জন। বিভাগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৭ জন।

এছাড়া সিলেট বিভাগে মোট কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৬৪ জন। সুনামগঞ্জে ৭২৫ জন। হবিগঞ্জে ২৮২ জন ও মৌলভীবাজার জেলায় ৩৬৭ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৮৯ জন। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২২ জন।

ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস