ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | নারায়ণগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ১০ মে ২০২০

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আব্দুল কাদেরকে (৭০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১০ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে ফতুল্লার পশ্চিম রসুলপুর ভাঙ্গারপুল এলাকায় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিটের অভিযোগ ওঠে।

নিহত আব্দুল কাদের পশ্চিম রসুলপুর ভাঙ্গাপুল এলাকার মৃত রহমান বেপারীর ছেলে। তিনি কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।

এদিকে রোববার বিকেলে নিহত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম হত্যার অভিযোগ এনে বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার পশ্চিম রসুলপুর ভাঙ্গারপুল এলাকায় মসজিদ কমিটিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদেরের সঙ্গে একই এলাকার মৃত এরশাদ খানের ছেলে মো. ইব্রাহিম খান ও মাহফুজ খান গংদের বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার (৯ মে) দুপুরে আব্দুল কাদেরকে তারা হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে ওইদিন বিকেলে আব্দুল কাদের স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. লাল মিয়া শেখের বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে নালিশ করেন। এতে ইব্রাহিম খান ও মাহফুজ খান আরো বেশি ক্ষিপ্ত হন।

এ সময় ইব্রাহিম খান ও মাহফুজ, মহিদুল, সোহাগ বেপারী, সজিব, আবুল হোসেন শেখ, হারুন মিয়া, রাসেল, ফয়সাল, নাঈম, রিপন শেখ, সেলিম শেখ, শাওনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন সন্ত্রাসী পঞ্চায়েত সভাপতির বাসায় গিয়ে কাদেরকে প্রকাশ্যে মারধর করতে থাকেন। পঞ্চায়েত সভাপতি বাধা দিলেও তারা কিছুই তোয়াক্কা করেননি। এরপর কাদেরকে তারা রাস্তায় নামিয়ে মারধর করে মুমূর্ষু অবস্থায় বাসার সামনেই ফেলে রাখে। আব্দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও তারা বাধা দেয়। হামলাকারীরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে রাতভর বাসার সামনেই অবস্থান করে এবং কাদেরের বাড়ির ঘর ভাঙচুর করে। পরে রোববার সকালে হামলাকারীরা না থাকায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, নিহতের স্ত্রীর দায়েরকৃত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাদী পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শাহাদাত হোসেন/এফএ/এমএস