ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মার্কেট খুলতেই ভিড় করছেন ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | খুলনা | প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১০ মে ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে খুলনায় খুলেছে মার্কেট। আজ রোববার (১০ মে) সকালে মার্কেট খুলেছে। সকালে ক্রেতা না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। অধিকাংশ ক্রেতাই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। মহানগরীর ডাক বাংলো ও রেলওয়ে মার্কেট এলাকার ১৭টি মার্কেট খুলেছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে মার্কেটের দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ফুটপাতে হকার ও অস্থায়ী দোকান বসানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

তবে অভিজাত নিউ মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুর ক্ষেত্রে দোকানগুলোর সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সাদা রঙের বিত্ত তৈরি করা হয়েছে। শপিং কমপ্লেক্স ও জলিল মার্কেটসহ কয়েকটি অভিজাত এলাকায় দোকান খোলা রাখার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মার্কেট কর্তৃপক্ষ।

eid

এদিকে মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের এলাকার হার্ডওয়ার, স্টেশনারী, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানও স্বাভাবিক সময়ের মতো খুলেছেন দোকানীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচুর সংকটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে তা কিছুটা হলেও আমাদের সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। সরকারের বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছি।

অনেকে বলছেন, ফুটপাতের হকার ও অস্থায়ী দোকান খুলছে না। এসব ব্যবসায়ীরাতো দিন আনেন দিন খান। মার্কেটের মালিকদের তো দোকান বন্ধ থাকলে তেমন ক্ষতি হতো না। তাদের খুলে দেওয়া হলো কিন্তু ফুটপাতের দোকান খোলা হলো না।

eid

খুলনা বিপণী কেন্দ্রের পাশের দোকানি মাজিদ হোসেন বলেন, খুলনার মার্কেট খুলেছে। সকালে ক্রেতা তেমন না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে। অধিকাংশ লোকই সামাজিক দূরত্বের বিধান মানছেন না।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. সামিউল হক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই অধিক সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে খুলনায় মার্কেট খোলাটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনী এবং ফরিদপুরসহ দেশের প্রায় সব মার্কেট কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে সেগুলো না খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও খুলনার ব্যবসায়ীরা সেটা করলেন না। স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের কেনাকাটা করা ক্রেতাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। যার কারণে অনেকেই এটা মানবে না।

আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম