কালীগঞ্জে সংবাদকর্মীদের পিপিই দিলেন এসপি শামসুন্নাহার

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের ৫৬টি পিপিইসহ সুরক্ষা সরঞ্জাম দিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুুপার (এসপি) শামসুন্নাহার।

এসপি শামসুন্নাহারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনাযুদ্ধে ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা গণমাধ্যমকর্মী তথা সাংবাদিকদের সুরক্ষায় এসব পিপিই দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সুুপারের পক্ষে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম এসব পিপিই কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমানের হাতে তুলে দেন।

এ সময় বাংলা টিভির কালীগঞ্জ প্রতিনিধি রফিক সরকার, সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন, রিয়াদ হোসেনসহ স্থানীয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে রাজধানী ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। এরপরেই রয়েছে পোশাক কারখানা অধ্যুষিত গাজীপুর জেলা। ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞরা গাজীপুরকে করোনার হটস্পট হিসেবে মন্তব্য করেছেন। এই জেলায় করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে পাঁচ উপজেলার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলার অবস্থান শীর্ষে। উপজেলায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট, পুলিশ কর্মকর্তা ও ইউএনও অফিসের কর্মচারীসহ মোট ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ইতোমধ্যে আক্রান্তদের মধ্যে থেকে পাঁচ চিকিৎসক, তিন নার্স ও এক পুলিশ সদস্যসহ ৩৭ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। গত ১২ এপ্রিল উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে কালীগঞ্জে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এপ্রিলের শেষের দিকে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে। তবে উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।

১২ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ৪৯৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছয়জন চিকিৎসক, আটজন নার্স ও কর্মচারী ৩১ জন, পুলিশ সদস্য ১৭ জন, উপজেলা প্রশাসনের চারজন এবং এর বাইরের আরও ৪৬ জনসহ মোট ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এসপি শামসুন্নাহার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও পুলিশের মতো সাংবাদিকরা ঘরে বসে নেই। করোনা পরিস্থিতিসহ মাঠের সব খবরাখবর তুলে আনছেন তারা। এজন্য নিজেদের সেফটির জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের পিপিই উপহার দেয়া হয়েছে।

আব্দুর রহমান আরমান/এএম/এমকেএইচ