ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শার্শায় ২৮ মণ্ডপে বাজবে ঢাক-ঢোল

প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। যশোরের শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পোর্ট থানার মণ্ডপগুলোতে সাড়ম্বরে বেশ জোরেশোরেই পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সাজ সাজ রব উঠেছে সর্বত্রই। ২৮টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে। সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে ও ব্যাপক আড়ম্বরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের জন্য প্রতিটি মণ্ডপে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। এবারের শারদীয় উৎসব পালনের জন্য ইতোমধ্যে শিল্পীরা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এখন উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে আকাশছোঁয়া সুদৃশ্য তোরণ। মণ্ডপগুলোতে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শার্শা উপজেলার শার্শা থানায় ২০টি ও বেনাপোল পোর্ট থানায় আটটি দৃষ্টিনন্দন পূজা মণ্ডবে হিন্দু ধর্মের বড় ধর্মীয় পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরে শার্শা ও বেনাপোলে ২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এ বছর সুষ্ঠুভাবে শারদীয় উৎসব পালনে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো মণ্ডপগুলোতে পুলিশ-আনসার-ভিডিপির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও রয়েছে নিয়মিত পুলিশি টহলের ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি থাকছে বিজিবি ও র্যাবের উপস্থিতি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

শার্শায় শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান, শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক ও অপূর্ব হাসান, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা শ্যামাপদ বিশ্বাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শান্তিপদ বিশ্বাস, সম্পাদক শ্রী বৈদ্য নাথ দাসসহ সকল পূজা মণ্ডপের সভাপতি সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া মহাল্লাদার ও দফাদারদের স্ব স্ব এলাকায় থেকে আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার স্বার্থে পূজা মণ্ডপের বাইরে আইন শৃঙ্খলার পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। নামাজের সময় ঢাক, ঢোল, মাইক বাজানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২৮টি পুজা মণ্ডবের জন্য সরকারি অনুদান প্রতি মণ্ডবে ১০ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার দেয়া হয়েছে।

শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ দাস জাগো নিউজকে জানান, সাড়ম্বরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের সার্বিক প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উপাসনা। যে উৎসবের আমেজ আছড়ে পড়বে হিন্দুদের সঙ্গে মুসলমানদের মাঝেও।

এবারো শারদীয় দুর্গাপূজায় শার্শায় সম্প্রীতিসহ উপজেলার প্রতিটি মন্দির পরিণত হবে হিন্দু-মুসলমানের মিলনমেলায়। সব মিলিয়ে ২৮টি মন্দিরে বাজবে ঢাক-ঢোল আর কাশার শব্দ।

মো. জামাল হোসেন/এমজেড/এমএস