ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনার ভয়ে দেড় মাস অনুপস্থিত, চিকিৎসক-টেকনোলজিস্টকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ০৬ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের ভয়ে টানা দেড় মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের টেকনোলজিস্ট মাহমুদা খানমকে শোকজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার অনুপস্থিতির তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গোপন রাখায় মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসক সাধনা চন্দ্র সরকারকেও শোকজ করা হয়েছে।

পাশাপাশি কেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে না, সাতদিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের।

শোকজ করা টেকনোলজিস্ট মাহমুদা খানম মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে কর্মরত। তিনি মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. মোর্শেদ আলমের স্ত্রী।

বুধবার (০৬ মে) বিকেলে মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে টেকনোলজিস্ট মাহমুদা খানম প্রায় দেড় মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সর্বশেষ তিনি ১৬ মার্চ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছিলেন। এরপরে তিনি কর্মস্থলে আর আসেননি। ফলে ৪ মে পর্যন্ত তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না থাকার বিষযটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ৫ মে মাহমুদা খানমকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চেয়ে এবং অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে না জানানোর জন্য অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সাধনা চন্দ্র সরকারকেকে শোকজ করা হয়।

মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদা খানমের স্বামী মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে মাহমুদা খানম কর্মস্থলে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। মাঝেমধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান। মাস শেষে বেতন তুলতে আসেন তিনি। এছাড়া মাসের অন্যদিন তাকে কর্মস্থলে খুব একটা দেখা যায় না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে আতঙ্কে টানা দেড় মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত মাহমুদা খানম।

অ্যানাটমি বিভাগের অফিস সহকারী সুশীল চন্দ্র বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মাহমুদা খানম একটি ছুটির দরখাস্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ। তার আগেই তিনি কর্মস্থলে আসা বন্ধ করে দেন।

তবে টেকনোলজিস্ট মাহমুদা খানম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বরিশাল জেলা লকডাউন। গণপরিবহনও বন্ধ। এসব কারণে ইচ্ছা থাকলেও কর্মস্থলে যেতে পারিনি।

সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ