ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নাচোলবাসীর ভরসাস্থল ইউএনও সাবিহা সুলতানা

জেলা প্রতিনিধি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ০৬ মে ২০২০

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়ে সব মানুষ যখন ঘরে তখন প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম ছুটে চলেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা সুলতানা। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হওয়ায় সকলের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ইউএনও। মূলত উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতার কারণেই জেলার অন্য যেকোনো উপজেলার চেয়ে সার্বিক পরিস্থিতি এখনে অনেক ভালো।

মূলত এ রোগ থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে বরেন্দ্র ভূমির অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রাণ সামগ্রী। এছাড়াও মানুষকে সচেতন করতে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, নায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য সরবরাহ, হাটবাজারে আড্ডা ও সমাগম প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়াদের সহায়তা দিতে কার্যক্রম ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এ কর্মকর্তা।

নাচোল পৌর এলাকার শামসুন্নাহার, ফতেপুর ইউনিয়নের সেফালী বেগম ও কসবা ইউনিয়নের রেবীনা খাতুন জানান, করোনার কারণে বাড়ির বাইরে যেতে না পারায় তারা আর্থিক সংকটে পড়েন। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি তাদেরকে খাবার পৌঁছে দেন।

jagonews24

নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের ইউএনও সাবিহা সুলতানা উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। এ উপজেলার মানুষ তার কাজে খুবই সন্তুষ্ট।

ইউএনও সাবিহা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, নাচোল উপজেলা থেকে ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৫৭টি নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছি। ২০ জনের রিপোর্ট এখনও পাইনি। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে। যাদের বাড়িতে জায়গা নেই তাদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নাচোল উপজেলার প্রায় ৮ হাজার ৪০০ পরিবারের মাঝে ৮৪ মেট্রিক টন ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আড়াইশ টাকার প্যাকেজ করে সবজি ও ডালসহ আন্যান্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে সাধরণ মানুষকে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আব্দুল্লাহ/এফএ/এমকেএইচ