ঘরে বসেই দেয়া যাবে পানির বিল
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের পানির বিল পরিশোধের জন্য আর ব্যাংকে যেতে হবে না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিল পরিশোধ করতে পারবেন তারা।
শনিবার বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন পানির বিল পরিশোধের জন্য অনলাইনে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা চালু করেছে।
এই পদ্ধতিতে প্রতি কোয়ার্টারের বিলের পরিমাণ এবং বিল পেমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সহযোগিতায় বিল পরিশোধ করতে পারবেন। তবে প্রাথমিকভাবে ৪ হাজার ২৪৬ জন গ্রাহক এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, কিছুদিনের মধ্যেই সকল গ্রাহকই এই সুবিধার আওতায় আসবেন।
তিনি জানান, এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে হলে গ্রাহকের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে হয়। এই পর্যন্ত তারা ১৩ হাজার ৩০০ গ্রাহকের মধ্যে ৪ হাজার ২৪৬ জন গ্রাহকের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। চলতি অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ৪ হাজার ২৪৬ জন গ্রাহকের মোবাইলে বিল সংক্রান্ত এসএমএস চলে যাবে।
নির্বাহী প্রকৌশলি আলী আকবর আরও জানান, মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ামাত্র বাকি গ্রাহকরাও এই সুবিধার আওতায় আসবেন। এই পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে কোনো গ্রাহক ইচ্ছে করলেই তার নাম অথবা মোবাইল নম্বর অথবা গ্রাহক আইডি নম্বরের মাধ্যমে তার পানির বিলের সর্বশেষ পরিসংখ্যান খুব সহজেই যেকোনো সময় জানতে পারবেন।
এদিকে এই সার্ভিস চালুর পূর্বে পানির বিল পরিশোধের অটোমেশন পদ্ধতির চূড়ান্ত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব। এসময় তিনি জানান, পানির বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই সুবিধা চালুর মাধ্যমে নতুন এক যুগের সূচনা করল। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমের আরেকটি সুফল হচ্ছে এটি।
এনামুল হাবীব বলেন, এই পদ্ধতি চালুুর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার ক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশন আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
অটোমেশন পদ্ধতির চূড়ান্ত কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, প্রধান প্রকৌশলি (ভারপ্রাপ্ত) নুর আজিজুর রহমান, মেয়রের একান্ত সচিব রেজাই রাফিন সরকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলি আলী আকবর, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আ ন ম মনছুফসহ আরও অনেকে।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/আরআইপি